আদানির দাবি বকেয়া ৭০ কোটি ডলার, পিডিবি বলছে ৫০ কোটি ডলার
বিদ্যুতের বিল নিয়ে আদানি-পিডিবির মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১২-০৬-২০২৫ ০৭:৪৮:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০৬-২০২৫ ০৭:৪৮:৩১ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
চলতি বছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে ৭০ কোটি ডলার পাওনার দাবি আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। কিন্তু বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাবে বকেয়া ৫০ কোটি ডলারের কম। কয়লার দাম নিয়ে ভিন্নমতের কারণেই এমন ব্যবধান।
সমস্যা সমাধানে আগামী ২৩ জুন বৈঠক করবে দুই পক্ষ। যদিও আগের চুক্তি বহাল রেখে, দরকষাকষির মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা সম্ভব বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আমদানি শুরু হয়। আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট কেনা হয় ১৪ থেকে ১৫ টাকায়।
আদানি দাম ধরেছে, অস্ট্রেলিয়ার কয়লা নির্ভর মিশ্রিত সূচকে। অন্যদিকে, পিডিবি ইন্দোনেশিয়ার কয়লা ইনডেক্স ব্যবহার করছে। এতে প্রতিটন কয়লার দামে ব্যবধান ১০ থেকে ১২ ডলার পর্যন্ত। ফলে দুই সূচকে আদানি ও পিডিবির হিসাবে মে মাস পর্যন্ত বকেয়ার ব্যবধান প্রায় ২০ কোটি ডলার বা আড়াই হাজার কোটি টাকা। বিষয়টির সুরাহা করতে আগামী ২৩ জুন দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হবে। আদানির পক্ষে দরকষাকষিতে অংশ নেবে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক দুই সালিশি প্রতিষ্ঠানের ৪ প্রতিনিধি।
পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘তারা (আদানি) একটা কোল প্রাইসিং করছে, আমরা একটা বলছি যে এই অনুযায়ী দেবো। সেটা নিয়ে একটা ডিসপিউট আছে। এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। আলোচনা যদি ফলপ্রসূ হয়, তারাও কিছুটা ছাড় দেয়, আমরাও কিছু ছাড় দিয়ে একটা যদি ভালো পজিশনে আসতে পারি। যেহেতু এ ধরনের চুক্তি অনেক লম্বা সময়ের বিষয়। অনেক কিছুই আমরা নিজেদের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় করতে পারি, যদি এতে আমার দেশের লাভ হয়।’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালু রাখা গেলে আদানির চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ মিলবে। তাদের মতে, বিদায়ী সরকার চুক্তিতে তাদেরকে বিদ্যুৎ ও কয়লার দামে একচেটিয়া সুবিধা দিয়েছে। তাই পিডিবির দর পর্যালোচনার উদ্যোগে আশাবাদী নন তারা।
ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ‘এই চুক্তির ব্যাপারে জনস্বার্থ সংরক্ষণের সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। সরকার এ সমস্ত রিভিউ, অমুক-তমুক করে আলটিমেটলি এর মধ্যে যে অসঙ্গতিগুলো আছে, লুণ্ঠন আছে বা আত্মসাৎ আছে, এগুলোকে সরকার সুরক্ষা দিচ্ছে।’ বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় আদানির কাছে পিডিবির জরিমানা বা মাশুল দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ডলার। প্রতিমাসে বাড়ছে ৬০ লাখ ডলারের বেশি।
বাংলাস্কুপ/ ডেস্ক/এনআইএন
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স